এ বছর পবিত্র ঈদুল আযহার দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়েছিল দেশের বিভিন্ন সরকারি, আর্থিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ। দীর্ঘ ছুটির কারণে গ্রামাঞ্চলে যাতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর এর কোন প্রভাব পড়তে পারে না পারে এজন্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক এবং বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষ থেকে ছুটি কালীন সময়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সেই নির্দেশনা মোতাবেক পবিত্র ঈদ-উল-আযহার দীর্ঘ ছুটিতে দিঘলিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অধীনস্থ দিঘলিয়া, আড়ংঘাটা, বারাকপুর ও গাজীরহাট এই চারটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ সেবা প্রদান করা হয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ছুটিকালীন সময়ে ১০ দিন দিঘলিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীগণ নিরলসভাবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন সেবা প্রদান করে। সেবাগুলোর মধ্যে ছিল উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে গর্ভবতী মা’কে গর্ভকালীন সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। ৪ টি কেন্দ্রে মোবাইল নাম্বারসহ সংরক্ষিত গর্ভবতী তালিকা থেকে মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে গর্ভবতী মা’কে সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়, একাধিক মা’কে প্রসব উত্তর সেবা প্রদান করা হয়, ২ টি মা সমাবেশ করা হয়, ৯৮ জন শিশুকে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়, এছাড়াও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিভিত্তিক সেবা প্রদান করা হয়।
১৯৮ জন সাধারণ রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়। গাজীরহাট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এফডব্লিউসিতে একজন রোগীর ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয়।
এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাইকে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম